
ভাড়ায় উড়োজাহাজ না পাওয়ায় ছোট হচ্ছে বিমানের বহর
- আপলোড সময় : ১৫-০৪-২০২৫ ১১:৪০:১০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-০৪-২০২৫ ১১:৪০:১০ পূর্বাহ্ন


ভাড়ায় উড়োজাহাজ না পাওয়ায় ছোট হচ্ছে বিমানের বহর। আসন্ন হজ মৌসুমে যাত্রী পরিবহন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ উড়োজাহাজের ঘাটতি পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নতুন করে দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তিন দফা দরপত্র আহ্বান করেও কোনো সাড়া পায়নি। শেষ চেষ্টা হিসাবে সর্বশেষ চতুর্থ দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দফায় দফায় দরপত্র আহ্বান করেও ভাড়ায় কাক্সিক্ষত উড়োজাহাজ আনতে না পারায় বাংলাদেশ বিমানের আগামীতে ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। বিদ্যমান অবস্থায় চলতি মৌসুমে হজযাত্রীদের সেবা দিতে বিমানের বিভিন্ন রুটের ফ্লাইট সমন্বয় করতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সংশ্লিষ্ট সূতে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে ভাড়ায় আনা দুটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ রয়েছে। চলতি বছর সেগুলোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছিল। বোয়িং নাকি এয়ারবাসের উড়োজাহাজ নেয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা ও দরকষাকষি চলছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। তার বদলে দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বোয়িং ৭৩৭-৮ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ লিজের জন্য প্রথম দফা দরপত্র আহ্বান করে বিমান।
সূত্র জানায়, উড়োজাহাজ ভাড়ার আহ্বানকৃত বিমানের দরপত্রে বলা হয়, বিমান ছয় বছরের জন্যউড়োজাহাজ দুটি লিজ নেবে। এর মধ্যে প্রথম উড়োজাহাজটি চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ও দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি ১ এপ্রিলের মধ্যে বিমানের বহরে যুক্ত করার কথা বলা হয়। ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজগুলো দিয়ে চলতি হজ মৌসুমে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা ছিল। সেজন্য সেগুলো বহরে যুক্ত করার সময়সীমা ১ এপ্রিল নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও বিমান কাক্সিক্ষত উড়োজাহাজ বহরে আনতে পারেনি। এখন বিমানের বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ২৯ এপ্রিল থেকে প্রি-হজ ফ্লাইট শুরু করা হচ্ছে। আর হজ ফ্লাইটের জন্য কিছু ফ্লাইট সমন্বয় করা হবে। কিছু রুট সমন্বয় করা হবে। তাতে কোনো কোনো রুটে কমতে পারে ফ্লাইটের সংখ্যা।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। তার মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার, ৬টি বোয়িং ৭৩৭ ও ৫টি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। এগুলো দিয়ে ২৩টি আন্তর্জাতিক ও ৭টি অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করছে। কিন্তু চলতি বছর ভাড়ায় আনা দুটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ১৯-এ নেমে আসবে বিমানের উড়োজাহাজের সংখ্যা। তাতে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনায় একটু সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ সামপ্রতিক বছরগুলোয় বিমানের যাত্রী পরিবহনের হার বেড়েছে। প্রচুর মানুষ এখন বিমানে ভ্রমণ করছে। এমন অবস্থায় বহর ছোট হয়ে এলে সমস্যা বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু উড়োজাহাজ ভাড়া না পাওয়া গেলে কি করা যাবে।
এদিকে এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. সাফিকুর রহমান জানান, বিমান দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার জন্য গত কয়েক মাসে একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করেছে। তিনবার আহ্বান করেও কোনো উড়োজাহাজ পাওয়া যায়নি। শেষ চেষ্টা হিসেবে আরেকটা দরপত্র আহ্বান করে ৭ এপ্রিল উন্মুক্ত হয়েছে। যেসব দরপত্র জমা পড়বে, সেগুলো মূল্যায়নের পর সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া নেয়া হবে। কিন্তু এবারো যদি উড়োজাহাজ সংগ্রহ না করা যায় তাহলে হয়তো কোনো একটা বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ